স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাংগীর আলমকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কথা বলা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের (৫৯০৯) চাকরিকাল ২৫ (পঁচিশ) বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে বিবেচনা করেন। সেহেতু সরকারি চাকরি অবসর আইন ২০১৮ এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাহাংগীর আলম।
এদিকে স্বরাষ্ট্র সচিব ছাড়াও বুধবার আরও ১০ সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা হলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব), বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব), জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব।
এর আগে মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এক ফেসবুক পোস্টে জাহাংগীর আলমকে অপসারণের দাবি জানান। পোস্টে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ইলেকশন করে ১০ পার্সেন্ট ভোটকে ৪০ পার্সেন্ট বানানোর আওয়ামী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা ছিল তখনকার ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। বর্তমানে তিনি স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে কর্মরত।
তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনকে দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের পুনরায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই এই মো. জাহাংগীর আলমকে আজকের মধ্যে অপসারণ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।