আজ ২৮ মে, বিশ্ব পুষ্টি দিবস উপলক্ষ্যে এক যৌথ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এ দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, “সারা বিশ্বে আজকের এই দিনটি পুষ্টি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার জোগাড় করতে পারে না। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দুঃখজনক যে দেশে সরকারের পক্ষ থেকে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে তেমন কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস ও হলগুলোতে খাবারের মান এতটাই নিম্নমানের যে, শিক্ষার্থীরা দুবেলা তৃপ্তিসহকারে খেতে পারে না।”
“সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রশিবিরের একান্ত দাবী- শিক্ষাখাতে দুর্নীতি বন্ধ করে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং সেই অর্থ যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। হল ও ছাত্রাবাসগুলোতে বরাদ্দ বাড়িয়ে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ”আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন জ্ঞানার্জন, গবেষণা, আবিস্কার ইত্যাদিতে তাদের মেধার ব্যবহার করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে মেধার সঠিক ব্যবহার ব্যতিত কার্যকর কোনো কিছু্ই অর্জন করা সম্ভব নয়। আর এই মেধাকে সচল ও কার্যকর রাখার ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাদ্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে খাবারের মান এতটাই নিম্নমানের যে, সেখানে পুষ্টি নিশ্চিত করা দূরে থাক, শিক্ষার্থীরা যেন খেয়ে কোনো মতে বেঁচে থাকে। অতি ক্ষুদ্রে আকৃতির মাছ ও মাংসের পিস দেখলে যে কারো মন কেঁদে উঠবে। যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিবে তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।”
এছাড়াও নেতৃবৃন্দ প্রান্তীক জনপদে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ প্রণোদনা বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষাকে আরও সহজলভ্য করার আহবান জানান।
তাঁরা বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ও হলের ক্যান্টিনসমূহে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনের ফ্রি খাওয়া খাবারের মান নিশ্চিত করতে না পারার অন্যতম কারণ। এসব দলীয় বিবেচনায় ফ্রি খাওয়ার নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। আমরা শিক্ষার সামগ্রিক উন্নতি ও সকল শিক্ষার্থীর জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি”।
বার্তাপ্রেরক
সাদেক আব্দুল্লাহ
কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির