বাংলাদেশের নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২৭টি মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টাদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন হয়েছে। এতে জানা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ এরআগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৮টায় বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নাহিদ ইসলাম। মাত্র ২৬ বছর বয়সে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষের অন্যতম নেতা।
নাহিদের জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকার অদূরে ফকিরখালীতে। তার ডাকনাম ‘ফাহিম’। ২০১৪ সালে ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। ২০২২ সালে অনার্স পাস করেন তিনি। নাহিদ ইসলাম একই বিভাগে মাস্টার্সও পড়েন। নাহিদের ছোট এক ভাই রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত।
নাহিদের বন্ধু সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ করিম চৌধুরী একটি গণমাধ্যমকে জানান, সমাজবিজ্ঞান পড়তে গিয়েই সামাজিক বিভিন্ন বৈষম্য ও রাজনীতি নিয়ে তার আগ্রহ তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল পছন্দ না হওয়ায় এই ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
নাহিদ ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে নেতৃত্বে ছিলেন না। আন্দোলন চলাকালে নাহিদের এক সহপাঠি ও সিনিয়র শিক্ষার্থীকে সাদা পোশাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেলে নাহিদ আন্দোলন গড়ে তোলেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের বাধার মুখে পড়তে হয় নাহিদকে।
২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে নুরুল-রাশেদ-ফারুক প্যানেল থেকে নাহিদ নির্বাচনে অংশ নেয়। নাহিদ সংস্কৃতি সম্পাদক পদে নির্বাচন করে। নির্বাচনে তিনি জয়ী হননি। পরে মতবিরোধের কারণে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে আসেন।
২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নির্দলীয় ছাত্র সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ আত্মপ্রকাশ করে। এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ছিলেন নাহিদ ইসলাম।
Source: Daily Ittefaq