সীমান্তে হত্যা বন্ধ, তিস্তা চুক্তিসহ যেসব বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার তাগিদ

Spread the love

ভারতের সঙ্গে সীমান্তে হত্যা বন্ধ, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।

পরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে যেসব অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রচার হচ্ছে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সুখকর নয় বলেও দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাকে বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া অত্যন্ত অতিরঞ্জিত করে প্রচার করছে। ভারত থেকে আসা এ ধরনের বক্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য সহায়ক নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়।

তিনি আগামীতে আরও গণকেন্দ্রিক সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেন। বিশেষ করে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির সমাপ্তি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছার কথা উল্লেখ করেন এবং উভয় দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারত সরকারের গভীর আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।

তৌহিদ হোসেন ভারতের হাইকমিশনারের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সরকার সব ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাদের বিরুদ্ধে কোনো সহিংসতা বা ভয়ভীতি সহ্য করা হবে না।

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে হাইকমিশনারকে অবহিত করেন।

তিনি উল্লেখ করেন যে, এই অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং অর্থনীতিকে ট্র্যাকে নিয়ে আসা।

হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুত্ববাদী গণতন্ত্রে উত্তরণ নিশ্চিত করতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এমআই/ইএস)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *